প্রতারনা কি? ধারা কত? শাস্তি ও প্রতিকার? GLEC
প্রতারনার শাস্তি কি?
বাংলাদেশ
দন্ডবিধির ৪১৭ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি যদি প্রতারনা করে সেই ব্যক্তি
যেকোন বর্ননার কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা
অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবে।
প্রতারনার কিছু ধরন রয়েছে আর সেই ধরন অনুসারে প্রতারনার শাস্তিও ভিন্ন হতে পারে।
অপরের রূপ ধারনপূর্বক বা মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারনা করলে তার শাস্তিঃ
কোন
ব্যক্তি যদি অপরের রূপ ধারন করিয়া বা নিজেকে অপর কোন ব্যাক্তি পরিচয় দিয়া
বা তিনি যা নন সেই পরিচয় প্রদান করেন তাহলে ধারা ৪১৯ অনুযায়ী তিনি শাস্তি
ভোগ করিবেন।
বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা
৪১৯ অনুযায়ী যে ব্যক্তি অপরের রূপ ধারন করে বা মিথ্যা পরিচয় দিয়া প্রতারনা
করে তিনি যে কোন বর্ননার কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হতে পারে
বা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
৪২০ ধারা কি?
অবৈধ বা অসাধুভাবে অর্থ বা সম্পত্তি লাভের জন্য যে কোন প্রকার কুপ্ররোচনা বা উদ্যোগ গ্রহন করলে এই ধারা অনুযাযী তার বিচার করা সম্ভব।
৪২০ ধারার শাস্তিঃ
এই ধারা অনুযায়ী অপরাধ করলে তিনি সর্বোচ্চ সাত বৎসর পর্যন্ত দন্ডিত হইবেন তদুপরি অর্থদন্ডে ও দন্ডিত হইবেন।
প্রতারনা করলে করনীয়ঃ
কেউ
যদি আপনার সাথে কোন ধরনের প্রতারনা করে তবে সেটা যদি আপনি দ্রুত বুঝতে
পারেন তাহলে আপনার তাৎক্ষনিক ভাবে থানায় একটি জিডি করতে হবে। চেস্টা করূন
যতটুকু সম্ভব প্রতারনার প্রমান সংরক্ষন করার। এবং তার পর সরাসরি আইনজীবীর
সাথে যোগোযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করূন। মনে রাখবেন আদালতে মামলা দায়ের
করতে আপনি যত বেশী দেরী করবেন। আপনার মামলাটি তত দুর্বল হয়ে যাবে।
No comments