খাদ্যদ্রব্য অবৈধ মজুতের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। [সংসদে নতুন বিল পাশ (বুধবার, ০৫/০৭/২০২৩ ইং)]

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। আর এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। কাল্পনিক নামে খাদ্যদ্রব্য বিপণন ও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এসব বিধান রেখে একটি নতুন আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

খাদ্যদ্রব্য অবৈধ মজুতের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। [সংসদে নতুন বিল পাশ (বুধবার, ০৫/০৭/২০২৩ ইং)]
খাদ্যদ্রব্য অবৈধ মজুতের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। [সংসদে নতুন বিল পাশ (বুধবার, ০৫/০৭/২০২৩ ইং)]

‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) বিল-২০২৩’

বিলের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনসংক্রান্ত অপরাধ নিরোধের জন্য এই আইন আনায়ন করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, খাদ্যদ্রব্য বলতে বোঝাবে যেকোনো প্রকার দানাদার খাদ্যদ্রব্য; যথা চাল, ধান, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি।
অপরাধঃ
ক) খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম উপাদান মিশ্রণ করে উৎপাদন ও বিপণন করলে সেটিও হবে অপরাধ। লাইসেন্স ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা চললেও তা অপরাধ হবে।
খ) কোনো অনুমোদিত জাতের খাদ্যশস্য থেকে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যকে ওই রূপ জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বিপণন করলে তা হবে অপরাধ।
গ) খাদ্যদ্রব্যের মধ্য থেকে স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অপসারণ বা পরিবর্তন করে উৎপাদন বা বিপণন করলে সেটিও অপরাধ হবে।
ঘ) সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে অপরাধ হবে।
অপরাধের শাস্তিঃ
১) ক থেকে গ পর্যন্ত অপরাধ সংগঠিত হইলে উক্ত অপরাধের জন্য শাস্তি হবে ২ বছর কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
২) ঘ অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। আর এই অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য হবে।
ধন্যবাদান্তে,
অ্যাডভোকেট আবদুর রব পারভেজ রবি

No comments

Powered by Blogger.