‘সাক্ষী গোপাল’ এর আত্মকাহিনী; সাক্ষী গোাপালের কারণে বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশা

 সাক্ষী গোপাল মানে নিষ্ক্রীয় দর্শকের ভুমিকা পালন করা দায়িত্বপ্রপ্ত ব্যাক্তি।

সাক্ষী গোপাল
সাক্ষী গোাপালের কারণে বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশা।

একদা এক ব্রাহ্মণ রাজা গিয়েছিলেন  ভ্রমনে। পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পথিক এক নিচু জাতের রাখালকে তার মেয়ের জামাই বানাবে বলে উভয় গোপালকে সাক্ষী মানলেন। পরবর্তীতে ভ্রাহ্মণ রাজার রাজা তার পরিবারকে জানালে তারা অস্বীকার করেন এত নিচু জাতের সাথে বিয়ে দেওয়া ঠিক হবেনা। তখন ছেলে বলল গোপালতো মুর্তি সেতো আর কথা বলতে পারবে না। রাখাল মজলিসে গোপাল কে নিয়ে আসল গোবাল বাকরুদ্ধ ও নিষ্ক্রীয় হয়ে থাকায় তারা বুঝতে পারল গোপাল রাগ করেছে এবং বিযে দিয়ে দিলো।

 যখন আমাদের দেশে বিচার ব্যবস্থা কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে হরহামেসা অনিয়ম দেখা  দেয় তখন সেখানে হাজার সাক্ষী থাকে কিন্তু প্রযোজনের তাড়নায় কেউ সত্য সাক্ষ দিতে রাজী নয় সবাই নিষ্কীয় হয়ে থাকে আর দর্শকের ভুমিকা পালন করে। এতে করে বিচার ব্যবস্থা খুব সহজ হয় কারন তখন সত্য ঘটনা অভিযোগের লেখাটাই গৃহীত হয়। সত্য উৎগঠন করার জন্য কাগজের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই যেহেতু প্রমানের জন্য সাক্ষী নেই। সেহেতু বিচারকও দর্শকের ভুমিকা পালন করবেন।

এভাবে ন্যার্য্য  বিচার থেকে সাক্ষী গোপালদের কারনে অধীকার থেকে বঞ্চীত হয় হাজারো সাধারণ, অসহায় নিপিড়িত মানুষগুলো।

কলমে- 

আ্যাড. আবদুর রব পারবেজ রবি,  আ্যাডভোকেট, জজ কোর্ট, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.