রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমার অভিযুক্ত। সুচির আপত্তি খারিজ। মামলা চলবে।অন্তর্বর্তী আদেশ জারী।

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমার অভিযুক্ত। সুচির আপত্তি খারিজ। মামলা চলবে।অন্তর্বর্তী আদেশ জারী।
ICJ


গণহত্যার অভিযোগ প্রমানিত। গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে মিয়ানমারকে। রোহিঙ্গাদের পরিচয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বাংলাদেশ বা আরকান পরিচয় নায়। অং সং সুচি কর্তৃক যে বলা হয়েছিল আরাকান আর্মির ওপর এই হামলা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেটা স্পষ্ট করে বলেছে কারা আরকান আর্মি আর কারা সাধারণ মানুষ সেটা স্পষ্ট করেনি মিয়ানমার। বলা হয়েছে মামলাটি চলতে থাকবে। আদালতের অন্তর্বতীকালীন আদেশে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: - বাস্তুচ্যুতির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন। - মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনা দিচ্ছেন। - গাম্বিয়া যেসব ব্যবস্থার আবেদন করেছে সেগুলো হুবহু অনুসরণ না করেও আদালত কিছু পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে পারে। - আদালতের অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। - আদালত গণহত্যা সনদের ধারা ৪১ এর আওতায় তিনটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশের শর্তসমূহ বিরাজ করছে বলে আদালত উল্লেখ করেছে। - গাম্বিয়া যেসব অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার আদেশ চেয়েছে সেগুলোর প্রথম তিনটির লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা দেওয়া বলে আদালতের কাছে মনে হয়েছে। - জাতিসংঘ তথ্যানুসন্ধানী দলের উপসংহার, যা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে তাতে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল বলে যে উল্লেখ রয়েছে তা আদালতের নজরে এসেছে। - আদালত মনে করেন, গণহত্যা সনদের ধারা ২ এর আলোকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একটি বিশেষ সুরক্ষার অধিকারী (প্রোটেক্টেড) গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচ্য।

বৃহস্পতিবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর চালানো গণহত্যার বিচার চেয়ে গাম্বিয়ার করা মামলার আদেশে এ মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। আদেশে বিচার আদালত বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার দায় মিয়ানমার এড়াতে পারে না। মামলায় মিয়ানমার অসহযোগিতা করেছে। রাখাইনে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আদালত বলেন, জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রই বিচারের উর্ধ্বে নয়। এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে।


No comments

Powered by Blogger.