Welcome to Glorious Legal Services Firm and Education Centre. A Trusted and Traditional Leading Law Firm and Education Centre in Dhaka, Bangladesh. Glorious Legal Services Firm for Legal Solution of Our Respected Client's and Glorious Legal Education Centre for Legal Education and Research for Legal Students and who want to practice in Legal Area.

ইসলামে ইয়াতিমের হক সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ব্যখ্যা || তারেক ওসামা

আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে ইসলামে ইয়াতিমের হক। 


ইসলামে ইয়াতিমের হক  || তারেক ওসামা 
ইসলামের দৃষ্টিতে পিতৃহীন শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত ইয়াতিম হিসাবে গণ্য হয়। 

পবিত্র কোরআনের ১২টি সূরার ২২টি আয়াতে ইয়াতিমের কথা বলা আছে। ইয়াতিমের হক, ইয়াতিমের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য, ইয়াতিমের হক ভক্ষণের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বিশদভাবে উল্লেখ রয়েছে।

আল্লাহ পাক সূরা নিসায় ইরশাদ করেছেন যে, 

‘আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তার সঙ্গে কাউকে শরিক করোনা। পিতা-মাতার সঙ্গে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকট আত্মীয়, ইয়াতিম, নিঃস্ব, প্রতিবেশী, অসহায় পথিক এবং দাস-দাসীদের প্রতিও।’ (সূরা: আন-নিসা, আয়াত: ৩৬)

ইসলামের বিধান সকল মানুষের সঙ্গে সদাচরণের শিক্ষা দেয়।বিশেষ করে সমাজের ঐ শ্রেণীর মানুষ যারা অবহেলিত, দুঃস্থ, অসহায়, ইয়াতিম এবং মজলুম এসকল মানুষের প্রতি বিত্তবানদের রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

অসহায় ইয়াতিমদের প্রতি যথার্থ সম্মান, স্নেহ, ভালোবাসা প্রদর্শন না করার অর্থ হলো তাদের প্রাপ্য হক আদায় না করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহন না করা এবং তাদের দুঃখে-কষ্টে সহযোগিতা না করা। 

নবী করীম (সা.) ইরশাদ ফরমান যে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইয়াতিম অনাথদের মাথায় স্নেহের হাত বোলাবে, ইয়াতিমের স্পর্শিত প্রত্যেকটি চুলের বিনিময়ে আল্লাহ ঐ স্নেহকারীকে অসংখ্য নেকী দান করবেন।’ (তিরমিযী)

ইসলামে ইয়াতিমের হক ভক্ষণকারীদের জন্য রয়েছে ভয়ংকর দুঃসংবাদ ও শাস্তি । এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন মাজীদে বলেছেন যে,  ইয়াতীমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। খারাপ মালামালের সঙ্গে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সঙ্গে সংমিশ্রিত করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটা বড়ই মন্দ কাজ।’ (সূরা: আন- নিসা, আয়াত: ২)

কিন্তু বর্তমান যুগের মানুষের চিত্র হলো, তারা শরীয়তের এই কঠোর নির্দেশনাগুলোকে একদিকে ফেলে রেখেছে। সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে একে অন্যকে বঞ্চিত করার প্রতিযোগিতায় মেতে থাকে। মনে রাখতে হবে, যেদিন এই মুকাদ্দমাগুলো সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার আদালতে উত্থিত হবে সেদিন ওই অধিকার গ্রাসকারীদেরকে ধিক্কারজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। 

তাই আমাদের সকলের উচিত ইয়াতিমদের হক আদায় করা যেনো তারাও সমাজে অন্যান্য মানুষের ন্যায় সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে।

লেখকঃ

তারেক ওসামা

হাফেজ, ঢাকা।






2 comments:

  1. ইসলামের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.